ঢাকা , সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
ফের রাজনীতিতে বাড়ছে উত্তাপ হলে রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ প্রত্যাহার চায় বাম ছাত্রসংগঠনগুলো পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার ‘বাঘ’ আসতে বাধা কোথায় ১২৩ সংগঠন ১৬০৪ বার অবরোধ করেছে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চবিতে সংঘর্ষে আহত দেড় শতাধিক নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন রাষ্ট্রপতি বই মুদ্রণে আন্তর্জাতিক দরপত্রের সিদ্ধান্ত হয়নি ঢাবি শিক্ষক কার্জনসহ ২ জনের জামিন মেলেনি ডাকসুতে ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে রিট, শুনানি আগামীকাল নেত্রকোনায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে ইউপি সদস্যসহ নিহত ২ প্রথম রোবটিক রিহ্যাব সেন্টার চালু মোংলা-খুলনা মহাসড়ক এখন মৃত্যুফাঁদ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৪ হাসপাতালে ভর্তি ৫৬৮ হত্যা-চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে রাস্তায় নামছে সাধারণ মানুষ আওয়ামী লীগ আমলেও এমন হামলা হয়নি, এর দায় সরকারকে নিতে হবে- উপদেষ্টা আসিফ মোবাইল ইন্টারনেটের সর্বনিম্ন গতি ১০ এমবিপিএস রেকর্ড ভেঙে পুঁজিবাজারে বছরের সর্বোচ্চ লেনদেন গাইবান্ধায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ পুলিশ-সাংবাদিকসহ আহত অন্তত ১০ লাগাম ছিঁড়েছে হত্যা-চাঁদাবাজি রাস্তায় নামছে সাধারণ মানুষ র‌্যাবের ডিজি ও এসবি প্রধানের চাকরির মেয়াদ বাড়ল
ডাকসু নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা

হলে রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ প্রত্যাহার চায় বাম ছাত্রসংগঠনগুলো

  • আপলোড সময় : ০১-০৯-২০২৫ ০৫:০৯:৫০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০১-০৯-২০২৫ ০৫:০৯:৫০ অপরাহ্ন
হলে রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ প্রত্যাহার চায় বাম ছাত্রসংগঠনগুলো
আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে বাম ছাত্র সংগঠন সমর্থিত প্রতিরোধ পর্ষদ প্যানেল নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে। গতকাল গতকাল রোববার বিকেল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। প্যানেলের জিএস প্রার্থী মেঘ মল্লার বসু ‘সমতায়-প্রতিরোধে, নিরাপদ ক্যাম্পাস’ স্লোগানকে সামনে রেখে এ ইশতেহার ঘোষণা করেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে তারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু করেন। ইশতেহারগুলো হলো- ১. ডাকসুর কাঠামোর সংস্কার ও ক্ষমতা বৃদ্ধি অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডারে কেন্দ্রীয় এবং হল সংসদ নির্বাচনের তারিখ সুনির্দিষ্ট করা। সিনেটের কোরাম পূর্ণ করতে ন্যূনতম দুজন নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধির উপস্থিত থাকার বাধ্যবাধকতা রেখে ৭৩-এর অধ্যাদেশ সংশোধন করা। সিনেটে ৫ জন নয়, ন্যূনতম ১০ জন নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি রাখার বিধান যুক্ত করা। হল সংসদ এবং কেন্দ্রীয় সংসদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অপসারণ বা কোনো কারণে বিলুপ্ত করতে হলে তা শিক্ষার্থীদের গণভোটের মাধ্যমে হতে হবে, কোনোভাবেই প্রোভোস্ট এবং উপাচার্যের হাতে এ ক্ষমতা রাখা যাবে না। অনুষদভিত্তিক শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নির্বাচন করা। ২. শিক্ষার্থীদের ক্ষমতায়ন করে শিক্ষার মানোন্নয়ন : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ, বেসরকারিকরণ সংকোচন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা। আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে গৃহীত ইউজিসির কৌশলপত্র বাতিল করা। বিশ্ববিদ্যালয়ে বাণিজ্যিক নাইট কোর্সসহ শিক্ষা বিধ্বংসী সব প্রকল্প রুখে দেওয়া। সব প্রকার ফি বৃদ্ধি বা আরোপ বন্ধ করা, তিন মাসের মধ্যে পরীক্ষার ফল প্রকাশ বাধ্যতামূলক করা। শিক্ষক মূল্যায়ন ব্যবস্থা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবগত করা এবং মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করে বিভাগের পক্ষ থেকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া। উপস্থিতি হারের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না করা এবং নন কলেজিয়েট/ডিসকলেজিয়েট ফি-এর নামে জরিমানা বাতিল, অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণের শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা করা। ৩. গবেষণায় অগ্রাধিকার : গবেষণা ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটের অন্তত ১০ ভাগ গবেষণা খাতে বরাদ্দ নিশ্চিত করা। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে প্রতিটি গবেষণাগারের আধুনিকায়নের ব্যবস্থা করা। প্রতিটি বিভাগে গবেষণা প্রকল্প গ্রহণ করতে উদ্যোগ নেওয়া এবং বছর শেষে গবেষণা প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবগত করা। গবেষণা প্রকল্পে শিক্ষার্থীদের রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ, রিসার্চ ফেলোশিপ দেওয়া। থিসিস নেওয়ার ক্ষেত্রে সিজিপিএ-এর প্রতিবন্ধকতা দূর করা। ৪. আবাসন সংকট নিরসন : সব হলে সন্ত্রাস-দখলদারিত্ব বন্ধ করা। পুরোনো ভবনগুলোর সংস্কার, সম্প্রসারণ এবং নতুন ভবন নির্মাণ করতে প্রশাসনকে বাধ্য করা। প্রথম বর্ষ থেকেই প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে সিট নিশ্চিত করা। হলের ভেতর জোরপূর্বক রাজনৈতিক কিংবা অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে নেওয়া কিংবা কর্মসূচিতে যেতে বাধা প্রদান বন্ধ করা। গণরুম, গেস্টরুম ও র?্যাগিং প্রথা নিষিদ্ধ করে ক্যাম্পাস চার্টার প্রকাশ। হলগুলোতে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা কার্যকর থাকা নিশ্চিত করা। ৫. নারীবান্ধব ক্যাম্পাস : নারী শিক্ষার্থীদের সাইবার সুরক্ষা, চলাফেরার স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে বাধ্য করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল কার্যকর করার সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। প্রতিটি ফ্যাকাল্টি, নারী হল ও ডিপার্টমেন্টগুলোতে কার্যকরী ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন। গর্ভবতী ও সদ্য মা হওয়া নারী শিক্ষার্থীদের জন্য ইনটেনসিভ কেয়ার সেন্টার ও ব্রেস্টফিডিং কর্নার স্থাপনসহ সামগ্রিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা। নারী হলে লোকাল গার্ডিয়ান নামক হয়রানির নির্মূলসহ হলের যাবতীয় হয়রানিমূলক নিয়মকানুনের অবসান ঘটানো। নারীদের হলে প্রবেশের সময়সীমা প্রত্যাহার করা। হলে আবাসিক-অনাবাসিক নারী শিক্ষার্থীদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা। ৬. সব জাতিসত্তার অধিকার নিশ্চিতকরণ : পাহাড় ও সমতলে সব জাতিসত্তার ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা। সব জাতিগোষ্ঠীর সমমর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করা। ৭. খাদ্য এবং পুষ্টিমান সুরক্ষা : হলগুলোত ব্যক্তিমালিকানাধীন ক্যান্টিন নয়, প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে কাফেটেরিয়া চালু করা। প্রতিবেলা খাবারে অন্তত ৮০০ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি নিশ্চিত করা। ভর্তুকি দিয়ে খাবারের দাম কমানো, মান বাড়ানো। খাবারে বৈচিত্র্যময় মেন্যু নিশ্চিত করা। রাত ১২টা পর্যন্ত খাবারের ব্যবস্থা রাখা। কার্জন, মোকাররম, সামাজিক বিজ্ঞান, মোতাহার ভবনসহ (অ্যানেক্স বিল্ডিং) সব অ্যাকাডেমিক ভবনে কাফেটেরিয়া চালু করা। কলাভবন এবং টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ার সংস্কার করা। খাবার ও পানীয়ের মান তিন মাস পরপর পরীক্ষা করা। ৮. শারীরিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা : শহিদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারকে আধুনিক এবং ন্যূনতম ১০০ শয্যায় উন্নীত করা। ২৪ ঘণ্টা সেখানে পর্যাপ্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স, অ্যাম্বুলেন্স ও চালক নিশ্চিত করা। সব প্রয়োজনীয় ঔষধ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটা কেন্দ্রীয় ঔষধাগার স্থাপন করা, প্রতিটি হলে ফার্মেসি চালু করা এবং ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা। নারী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে রাতের বেলা হল বন্ধ হওয়ার পর বাইরে চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে যাতায়াতের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক জটিলতা দূর করা। ৯. মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা : মেডিকেল সেন্টারের আওতায় মেন্টাল হেলথ সাপোর্ট সেন্টার গড়ে তোলা এবং অনলাইন-অফলাইনে সেবা প্রদান করা। নাসিরুল্লাহ সাইকোথেরাপি ও টিএসসি-এর থেরাপি সেন্টারের পাশাপাশি থেরাপি ইউনিট বৃদ্ধি করা। শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানসিক চাপ, হতাশা, আসক্তি ও আত্মহত্যা প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরি করা। মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ে তোলা। স্বাস্থ্যবিধি, পুষ্টি, ব্যায়াম এবং মানসিক প্রশান্তি বিষয়ে কর্মশালার আয়োজন করা। ১০.লাইব্রেরি, সেমিনার, রিডিং রুম এবং কমনরুম : কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি সার্বক্ষণিক উন্মুক্ত রাখা। নতুন লাইব্রেরি ভবন নির্মাণ এবং ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা। নতুন এডিশনের বই নিয়মিত যুক্ত করা। শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল ব্যবহার করে পর্যাপ্ত সংখ্যক আন্তর্জাতিক জার্নাল, স্বনামধন্য লাইব্রেরি, ই-বুক, সফটওয়্যার, টুলস, ডোমেইনসহ বিভিন্ন রিসোর্সে বিনামূল্যে প্রবেশ নিশ্চিত করা। সেমিনারে আসন এবং বইয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি করা। মেয়েদের হলের রিডিং রুম ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা। প্রতিটি অনুষদের শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ কমনরুম নির্মাণ করা। ১১. প্রকাশনা সংস্থাকে সচল করা : বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনা সংস্থা সচল করা এবং নিয়মিত বিভিন্ন বই ও গবেষণাপত্র প্রকাশ করা। মাতৃভাষায় উচ্চশিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কাজ সূচনা করা। শিক্ষার্থীদের থেকে গবেষণা প্রবন্ধ নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা। ১২. মুক্ত পরিসর পুনরুদ্ধার ও রক্ষণাবেক্ষণ : বিশ্ববিদ্যালয়ের বেহাত হওয়া জমি পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থা করা। অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে যেন মুক্ত পরিসর সংকুচিত এবং পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে নজর রাখা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার প্ল্যান শিক্ষার্থী এবং ডাকসু প্রতিনিধিদের যুক্ত করে পুনর্মূল্যায়ন এবং সংশোধন করা। ১৩. সাহিত্য এবং সংস্কৃতি : হলগুলোতে নৃত্যকলা, নাট্যকলা, সংগীত এবং চারুকলার শিক্ষার্থীদের চর্চার জন্য আলাদা রুমের সুব্যবস্থা করা। হল অডিটোরিয়ামগুলোকে সংস্কার এবং সক্রিয় করার উদ্যোগ নেওয়া। হল-অনুষদে নিয়মিত সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক আড্ডার আয়োজন করা। সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করা। সাহিত্য-শিল্প বিষয়ক বৃত্তির আয়োজন করা। প্রতিবছর ঐতিহ্যবাহী লোক উৎসবের আয়োজন করা। ভিন্ন ভিন্ন জাতিসত্তার মানুষদের সংস্কৃতি তুলে ধরে সাংস্কৃতিক আয়োজন করা। ১৪. পরিবহন : বিআরটিসি থেকে ভাড়াভিত্তিক নয়, নিজস্ব অর্থায়নে বাস ক্রয় করা। মেরামত কারখানাসহ পূর্ণাঙ্গ পরিবহন ব্যবস্থা এবং নীতিমালা গড়ে তোলা। বাসের রুট এবং ট্রিপ বৃদ্ধি করা। রাত ৮টা পর্যন্ত বাস সার্ভিস চালু রাখা। শনিবারে অ্যাকাডেমিক প্রয়োজন ও পরীক্ষার্থীদের জন্য বাস সার্ভিস চালু রাখা। বেসরকারিভাবে নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে অভ্যন্তরীণ যাতায়াতের জন্য শাটল সার্ভিস চালু করা। ১৫. ক্রীড়া : বার্ষিক স্পোর্টস ক্যালেন্ডার তৈরি করা যা অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডারের সঙ্গে সমন্বিত হবে। নতুন মাঠ বৃদ্ধি ও পরিত্যক্ত মাঠ উদ্ধার করে ব্যবহারযোগ্য করে তোলা। কেন্দ্রীয় এবং হলসমূহের মাঠ হবে শুধু খেলার জন্য, বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য নয়- এই বিষয়টি নিশ্চিত করা। কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের ড্রেনেজ এবং লাইটিং সিস্টেম সংস্কার করা। বিশ্ববিদ্যালয় জিমনেশিয়াম, সুইমিংপুল, খেলার মাঠ নারীবান্ধব করা। এগুলোর সময়সূচি নমনীয় করা এবং আধুনিক সরঞ্জামাদি যুক্ত করা। প্রতিটি অনুষদ এবং হলে গেমস রুম করা; যেখানে ক্যারাম, দাবা, টেবিল টেনিসসহ ইনডোর গেমসের ব্যবস্থা থাকবে। ১৬. পরিবেশ ও প্রতিবেশ সুরক্ষা : নির্মাণাধীন কাজে নির্মাণসামগ্রী যাতে ধূলা-দূষণের উৎস না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা। পর্যাপ্ত সংখ্যক ডাস্টবিনের স্থাপন করা। আড্ডার জায়গাগুলোতে গাড়ি পার্কিং নিষিদ্ধকরণ, পার্কিংয়ের জায়গা নির্ধারণ করা। ক্যাম্পাসের ভেতর যানজট ও যানবাহনের হর্ন নিয়ন্ত্রণে প্রক্টরিয়াল টিমকে তৎপর করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজনমাফিক গণশৌচাগার স্থাপন ও প্রতিদিন রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করা। বিরল এবং পুরোনো গাছগুলোকে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া এবং পরিকল্পিত সবুজায়ন করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যে জীববৈচিত্র্য রয়েছে তার ডেটাবেইজ তৈরি করা। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সেল গঠন করা। মাস্টারপ্ল্যান ছাড়া গাছ কাটা নিষিদ্ধ করা। ১৭. গণতন্ত্র, স্বায়ত্তশাসন ও মতপ্রকাশের অধিকার : ৭৩-এর অধ্যাদেশের অগণতান্ত্রিক ধারা বাতিল করে পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসন এবং স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। প্রশাসনিক এবং অ্যাকাডেমিক কোনো কাজেই রাষ্ট্র-সরকারের হস্তক্ষেপ চলবে না। প্রতিটি শিক্ষার্থীর মানবাধিকার, মতপ্রকাশ এবং সংগঠন করার অধিকার নিশ্চিত করা। সাম্প্রদায়িক, জাতিগত এবং লৈঙ্গিক বৈষম্য সৃষ্টিকারী সব তৎপরতাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা। ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড (প্রতিবন্ধী) শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া। ১৮. মুক্তিযুদ্ধ এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলন : মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন এবং ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাস সংরক্ষণের লক্ষ্যে আর্কাইভ প্রতিষ্ঠা, গবেষণা বৃত্তি নিশ্চিত এবং ত্রৈমাসিক প্রকাশনা বের করা। জাতীয়-আন্তর্জাতিক পরিসরে সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সংহতি, বিশ্বব্যাপী যুদ্ধবিরোধী অবস্থান এবং স্বাধীন ফিলিস্তিনের পক্ষে জনমত গঠন করা।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স